বিশেষ প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি।।

ডেস্ক নিউজ: 

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে দলটির পক্ষে করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি আজ।

এ মামলা মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি দীর্ঘ সময় ধরে চলায় আপিল বিভাগে জামায়াতের নিবন্ধন মামলাটির শুনানি হয়নি। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এটিএম আজহারের আপিল শুনানি চলে।

নিবন্ধন মামলা আবার কার্যতালিকায় আসলে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আজ প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এ দিকে গত সপ্তাহে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আপিল বিভাগের বর্তমান শুনানি দ্রুত করতে আবেদন জানিয়েছিল দলটির আইনজীবীরা। গত রোববার দলটির আইনজীবীগন আপিল বিভাগে এ আবেদন করেছিলেন।

এর আগে, চলতি বছরের ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়।

গত বছরের ২২ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। এর ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াই করার পথ খুলে যায়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, এডভোকেট আসাদ উল্লাহ প্রমুখ। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।

এর পূর্বে জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে একটি রিট আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ ওই রিটের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে। হাইকোর্টের বিতর্কিত এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন।